মহিলার রহস‍্য মৃত‍্যুর কিনারা : তদন্তে নেমে পুলিশ গ্ৰেপ্তার করলো ৫ জনকে

16th August 2021 1:13 pm বাঁকুড়া
মহিলার রহস‍্য মৃত‍্যুর কিনারা : তদন্তে নেমে পুলিশ গ্ৰেপ্তার করলো ৫ জনকে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  কয়েকদিনের মাথাতেই রহস্যমৃত্যুর কিনারায় মেজিয়া থানার পুলিশ । তদন্তে নেমে মোট গ্রেপ্তার পাঁচ ।

চলতি মাসের ৩রা আগস্ট মেজিয়া থানার কালিদাসপুরে এক মহিলার রহস্য মৃত্যু কে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। কালিদাসপুর কোলিয়ারি সংলগ্ন কোড়াপাড়ার এক পরিত্যক্ত কুয়োর জল থেকে কোমরে পাথর বাধা অবস্থায় এক মহিলার পচা গলা মৃত দেহ উদ্ধার করে মেজিয়া থানার পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে মাত্র বারোদিনের মাথাতেই এই ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর মৃত ঐ মহিলার নাম অঞ্জনা হাজরা(২৭)। মৃত ঐ মহিলার বাড়ি নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ এলাকায়।তবে মৃত ঐ মহিলা দীর্ঘদিন রানীগঞ্জ থানার গির্জাপাড়া এলাকায় তার এক পুত্র সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে আসলেমা  বিবি, ইমরান খান, রমজান খান, সাবান খান, আনারুল মল্লিক নামে  মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতর করেছে পুলিশ।এরা প্রত্যেকেই শালতোড়া থানার ডাহুক গ্রামের বাসিন্দা। গত কয়েকদিন আগে আসলেমা বিবি ও  ইমরান খান পুলিশের জালে ধরা পড়ে। গতকাল রমজান খান ও সাবান খানকে ডাহুকা থেকে গ্রেপ্তার করে মেজিয়া থানার পুলিশ। পাঁচ দিনের পুলিশি হেপাজত নিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে আনিরুল মল্লিক নামে আরেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আজ বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। এই খুনের প্রকৃত ঘটনাস্থল কোথায়  এবং এই খুনের ঘটনার প্রকৃত রহস্যই বা কি? বা এই ঘটনায় আরও কে কে জড়িত তা তদন্ত চালাচ্ছে মেজিয়া থানার পুলিশ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।